কি অহং-এ শ্রেষ্ঠত্ব লুটাও
-ফজলে এলাহি মুজাহিদ
লালপেড়ো সূর্যটা একদিন ডেকে বলে তাচ্ছিল্যে
কবি তুমি কতই না নিসপ্রভ,
আলোহীন আঁধারের পিণ্ড এক আপাদমস্তক মিলে
অসত্য নয়; হাতড়ে দেখি সমস্ত অনুভব।
জলগুলো সেদিন কলকলে ছলছলে চলতে চলতে বলে
কতই না অনুদার বক্ষ তোমার; তুলনায় খড়কুটো
মারতেও পারি, বাঁচাতেও পারি তাঁহারি আদেশ হলে
যথার্থ বলেছে; ফাঁক করে দেখি বুকের বুতাম দু'টো।
বিচ্ছু, সর্প, সিংহ, বাঘ্র, হাতীদের সভা ঘেঁষে চলি
সিদ্ধান্ত শুনি- দু'পেয়ে মানব কত দুর্বল; নির্বিষ,
কড়মড়ে হাড় ভাঙ্গতে কি মজা, একটু ছুঁলেই 'বলি'
ভুল কি বলেছে; উঠতে-বসতে বুঝি তা অহর্নিশ।
রাত্রিনী বলে কত অসহায় তুমি আমারি অন্ধকারে
চাঁদহাসি দেই; যদিবা আমার জোনাকী কন্যা হাসে,
তারার উড়না ঝলকাই যদি; পাগুলো তোমার সরে
চোখ ঘষে ঘষে তাই তো পেলাম; নিশিথে বারটি মাসে।
ফুল বলে আহা এসো নাকো কাছে, তুমি যে কি নির্গন্ধ
আহামরি কিছু রঙও নেই; ছাই! বসতে দেব কি সাথে,
কখনো কখনো তোমা হতে আসে বিকট এক দুর্গন্ধ
অতিকথা নয়; অবনত নাকে শুঁকে দেখি দুই হাতে।
বাতাসেরা ভাঙ্গে বাড়ীঘর, বলে- অবলা মানব তুমি
যেমন ইচ্ছে তেমনি দোলাই হুকুম হলেই তাড়াই,
দারুন আঘাতে চেয়ে দেখা ছাড়া কি পার সাধিতে শুনি
হায় নির্মম! লজ্জা লুকোতে গর্ত খুঁজে বেড়াই।
সহসাই শুনি সর্বশক্তিমানের আহ্বান ভেসে আসে
কুরআনের বুক ফুঁড়ে কোন এক তিলাওয়াতী কণ্ঠ ধরে,
অতি উচ্চ আর অতি মহতী যে আমি যমীনে ও আকাশে
অবিশ্বাস্য ধ্বণি ঝংকৃত শুনি তিরোহিত প্রায় কর্ণ কুহরে।
((আমরা তো আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি;
স্থলে ও সাগরে তাদেরে চলাচলের বাহন দিয়েছি;
উত্তম রিয্ক দিয়েছি আর যাদেরে সৃষ্টি করেছি
তাদেরও অনেকের উপরে এদেরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।)) [সূরা আল-ইসরাঃ ৭০]
কি আশ্চর্য দানে-সম্মানে উচ্চকিত করেছ আমায় প্রভু
ধুলিকণা থেকে কুড়িয়ে আমায় তুলিলে সপ্তাকাশে,
এ জীবন কেন, হাজার জীবন কুরবান হোক; তবু
অনন্ত সাধনা আমার পৌঁছিতে তব সন্তোষ-সকাসে।
-----------------------------------
ছন্দাবর্তনে
লালপেড়ো সূর্যটা একদিন ডেকে বলে তাচ্ছিল্যে
আলোহীন আঁধারের পিণ্ড এক আপাদমস্তক মিলে,
কবি তুমি কতই না নিস্প্রভ
অসত্য নয়; হাতড়ে দেখি সমস্ত অনুভব।
জলগুলো সেদিন কলকলে ছলছলে চলতে চলতে বলে
মারতেও পারি, বাঁচাতেও পারি তাঁহারি আদেশ হলে,
কতই না অনুদার বক্ষ তোমার; তুলনায় খড়কুটো
যথার্থ বলেছে; ফাঁক করে দেখি বুকের বুতাম দু'টো।
বিচ্ছু, সর্প, সিংহ, বাঘ্র, হাতীদের সভা ঘেঁষে চলি
কড়মড়ে হাড় ভাঙ্গতে কি মজা, একটু ছুঁলেই 'বলি',
সিদ্ধান্ত শুনি- দু'পেয়ে মানব কত দুর্বল; নির্বিষ
ভুল কি বলেছে; উঠতে-বসতে বুঝি তা অহর্নিশ।
রাত্রিনী বলে কত অসহায় তুমি আমারি অন্ধকারে
তারার উড়না ঝলকাই যদি; পাগুলো তোমার সরে,
চাঁদহাসি দেই; যদিবা আমার জোনাকী কন্যা হাসে
চোখ ঘষে ঘষে তাই তো পেলাম; নিশিথে বারটি মাসে।
ফুল বলে আহা এসো নাকো কাছে, তুমি যে কি নির্গন্ধ
কখনো কখনো তোমা হতে আসে বিকট এক দুর্গন্ধ,
আহামরি কিছু রঙও নেই; ছাই! বসতে দেব কি সাথে
অতিকথা নয়; অবনত নাকে শুঁকে দেখি দুই হাতে।
বাতাসেরা ভাঙ্গে বাড়ীঘর, বলে- অবলা মানব তুমি
দারুন আঘাতে চেয়ে দেখা ছাড়া কি পার সাধিতে শুনি,
যেমন ইচ্ছে তেমনি দোলাই হুকুম হলেই তাড়াই
হায় নির্মম! লজ্জা লুকোতে গর্ত খুঁজে বেড়াই।
সহসাই শুনি সর্বশক্তিমানের আহ্বান ভেসে আসে
অতি উচ্চ আর অতি মহতী যে আমি যমীনে ও আকাশে,
কুরআনের বুক ফুঁড়ে কোন এক তিলাওয়াতী কণ্ঠ ধরে
অবিশ্বাস্য ধ্বণি ঝংকৃত শুনি তিরোহিত প্রায় কর্ণ কুহরে।
((আমরা তো আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি;
স্থলে ও সাগরে তাদেরে চলাচলের বাহন দিয়েছি,
উত্তম রিয্ক দিয়েছি আর যাদেরে সৃষ্টি করেছি
তাদেরও অনেকের উপরে এদেরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।)) [সূরা আল-ইসরাঃ ৭০]
কি আশ্চর্য দানে-সম্মানে উচ্চকিত করেছ আমায় প্রভু
এ জীবন কেন, হাজার জীবন কুরবান হোক; তবু
ধুলিকণা থেকে কুড়িয়ে আমায় তুলিলে সপ্তাকাশে;
অনন্ত সাধনা আমার পৌঁছিতে তব সন্তোষ-সকাসে।
১৯.০২.২০০৭
মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।
ছবির জন্য কৃতজ্ঞ যেখানে।
|