অবাঞ্ছিতের বিষাদিয় দীর্ঘশ্বাস
-ফজলে এলাহি মুজাহিদ
পূবালী বাতাসের ভোরীয় পথ ধরে আমি এসেছিলাম;
যখনো তোমরা দীঘল রজনীরে দাওনি বিদায়
যখনো প্রিয়ের দীর্ঘ উমের ঘটাওনি বিচ্ছেদ
যখনো দু'চোখে অঙ্কিত ছিল স্বপ্নের শেষ রেশ,
তখনো আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমাদের অভিবাদনের।
কার অন্তরের কাছাকাছি ছিলাম দীর্ঘ দশটি মাস;
কোথায় সে জন? কে তুমি আমায় করিছ উত্তোলন
চির পতিত এই ভূমি থেকে তুলে চলেছ কোন্ পতনে
তৃষ্ণা অনেক অন্তরজুড়ে দাও না মায়ের বুক
পৃথিবীর বুকে সে ছাড়া আমার কে আছে আপন বলো?
সহসা নিজেরে খুঁজে পাই বারমাসী পঁচনীয় ভাগাড়ে
সকল পচনেরা হয়ে যায় মাটি চলে যায় গঙ্গায়
আমি শুধু রয়ে যাই আর বেড়ে উঠি অবহেলায়
আত্মার আকুতি আমার; জানালে না তুমি নারী
কে পূর্বসূরী? কি আমার পরিচয় পৃথিবীতে?
আমি ভেঙ্গে দেব তোমাদের সকল আবেগ-উচ্ছাস
আমি উপাড়িবো সব সম্পর্কের শিকড়িত বন্ধন
আমি ধ্বংস করবো সভ্য(?) নগরী; বিনোদিত রঙভবন
আমি হত্যা করবো আপনারে; হবে যন্ত্রণার অবসান;
বল হে পুরুষ! এসব আমার ন্যায্য কর্ম নয় কি?
এক জীবনের নিঃশেষে লাগে তোমাদের একটু ইশারা
কখনো তোমরা দয়া করে কর অস্ত্র-বুলেট অপচয়,
আজ বলবো আমি নিঃসঙ্কোচে, নির্ভয়ে, নির্লজ্জেঃ
"সভ্যতার অনেকাংশ লুকিয়ে তোমাদের দু'উরুর মাঝখানে"
তোমাদের অসভ্যতায় পৃথিবীতে অবাঞ্ছিত আমি জারজাত।
২২.০২.২০০৭
মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।
ছবির জন্য কৃতজ্ঞ যেখানে।
|