Try to Live till Live the World
  উপস্থাপনা
 
উপস্থাপনা :)

-ফজলে এলাহি মুজাহিদ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

[গাঢ়]উপস্থাপনা[/গাঢ়]

@= নেপথ্য হতে চার লাইন সংগীতঃ
"জীবন চলার সকল বাঁকে
পথিক তোমায় দু'টি পথ যে ডাকে,
আল্লাহর পথ আর শয়তানী পথ
বেছে নাও আপন আর লও হে শপথ;
এপারে-ওপারে মন স্বপ্ন আঁকে।।"


@= প্রিয় সুধী মণ্ডলী, প্রারম্ভে আজকের এই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত দু'টি কথা না বললেই নয়-

[গাঢ়]প্রথমতঃ সংস্কৃতি কি?[/গাঢ়]
সংস্কৃতি হলো কোন জাতির জীবনাচারের সবটুকু; আর তা যে নিঃসন্দেহে ব্যাপক সেকথা সকল বিবেকে সুদৃশ্যমান হলেও আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি সংস্কৃতির একটা অতীব নাজুক অংশ বিনোদনের রঙিন উঠোন জুড়ে অর্থাৎ, আমাদের জীবনাচারের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

[গাঢ়]দ্বিতীয়তঃ ইসলামে এর প্রয়োজনীয়তা কি?[/গাঢ়]
জন্মোপার, এপার পৃথিবী এবং অনন্ত আখেরাত নিয়ে ইসলাম এক বিস্তৃত 'মহাজীবন বিধান'-এর নাম। পৃথিবীতে আজ যদি কেউ এমন কোন জীবন ব্যবস্থা খোঁজে, যেখানে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কিত বিধান রয়েছে অর্থাৎ, কোন কিছু গ্রহণ, বর্জন বা পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে; তবে তা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র ইসলামে। সুতরাং ইসলামের অনুসারীদের নিকট ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা পৃথিবীতে তাদের টিকে থাকা না থাকার সাথে সম্পর্ক রাখে।

[গাঢ়]তৃতীয়তঃ সংস্কৃতির বর্তমান ধারাগুলো কি?[/গাঢ়]
পৃথিবীতে মানুষের যেমন দু'টি মৌলিক বিভাজন রয়েছে, তেমনি মানুষের জীবনাচারেও রয়েছে দু'টি মৌলিক ধারা। একটা আল্লাহর বান্দাদের ধারা, যারা তাদের প্রভু আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত বিধানের অনুসরণ করে, যাকে বলা হয় ইসলামী সংস্কৃতি। আর অন্যটি শয়তানের অনুসারীদের ধারা; যার রয়েছে হাজারো লাখো বিভাজিত নিয়ম-পদ্ধতি এবং প্রতিদিন আরো নতুন নতুন বিভ্রান্তির জন্ম হয়েই চলছে।

[গাঢ়]চতুর্থতঃ এসব ধারার প্রভাব কি?[/গাঢ়]
যদিও সংস্কৃতি পরিচালিত হয় বিশ্বাসের অনুপ্রেরণায়, তথাপি আচরণের প্রাবল্যে কিংবা অবহেলায় ধীরে ধীরে মজবুত বিশ্বাসেও ফাটল ধরতে বাধ্য। তাই সংস্কৃতি-তা যে কোনটিই হোক না কেন-মানব জীবনের সার্বিকতায় তার সুদূর প্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য।

[গাঢ়]পঞ্চমতঃ আমাদের করণীয় কি?[/গাঢ়]
অতএব, নিজেদেরকে আমরা যারা মুসলিম বলে দাবী করি, পৃথিবীতে জাতিগত স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে হলে ইসলামী সংস্কৃতির পরিপূর্ণ অনুসরণ এবং দুনিয়াবাসীর সামনে এর নমুনা পেশ করার মত বিকল্প আমাদের জন্য আর একটিও বাকী নেই।

সম্মানিত দর্শক-শ্রোতা মেহমানবৃন্দ, "......... শিল্পীগোষ্ঠী ......." প্রতি বছর এ পিকনিক আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতির বিনোদনের দিকটি অর্থাৎ, সাংস্কৃতিক পর্যায়টিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে প্রতীজ্ঞাবদ্ধ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর দয়া এবং আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা ও দো'আ কামনা করে আমাদের এবারের বাৎসরিক আয়োজন শুরু করতে যাচ্ছি।

@= কুরআন তিলাওয়াতঃ
কবি বলেনঃ
"কোন সে কিতাব শুনে ভয়ে কাঁদে এই দু'টি চোখ
কোন সে মধুর বাণী নিরাশ ধরণী পরে আশায় বাঁধায় বুক
সকল কাজের মাঝে আলোক-রশ্মি ঢালে কোন সে বিধান
সে তো আল-কুরআন, সে তো আল-কুরআন।"
সুতরাং প্রথমেই কুরআন তিলাওয়াতঃ নিয়ে আসছেন-
তিলাওয়াতেঃ
তরজমায়ঃ

@= হামদঃ
"পাখিরা গায় কার গুণগান?
তারাদের মাঝে কার আলোর ঝলকানি?
কেন আযানের ধ্বনি শুনে নেচে উঠে প্রাণ?
যদি বুঝতাম হায়! কত সুন্দর হতো এ জীবন খানি।"
আসছে যুগল হামদ। নিয়ে আসছেন ........ শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ-
[[কথাঃ ১) খুব সকালে পাখির গলে// যার গুণগান রটে// সাঁঝের বেলায় তারা মেলা// তার মহিমা বটে।। (ক্যাসেট থেকে সংগৃহীত)
২) আযানের ধ্বনি যদি বাজে অন্তরে// বসে থাকা যায় কি গো বসে থাকা যায়// আল্লাহর প্রেমে যেন এ মন হারায়।। (ক্যাসেট থেকে সংগৃহীত)]]

@= শিক্ষণীয় কৌতুকঃ
"ধর্ম তোমায় দিয়েছে বর্ম হে মানুষ
পঙ্কিলতায় মহাযুদ্ধের হাতিয়ার,
হটাতে শত্রু জড়িয়ে রাখো তারে জীবনের সারা বেলা
মরণ দুয়ারে হাজার খুঁজেও পাবে নাকো তারে আর।"
ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ক কৌতুক নিয়ে আসছেন-

@= আবৃত্তিঃ
"কর্ম তোমার হয় যদি হে অন্তরের প্রকাশ
অন্তর জেনো উড়ছে যেথায় বিশ্বাসের আকাশ,
মজবুত যদি হয় সে ঈমান, ভয় শুধু তাঁহাকেই
আশার প্রদীপে জ্বলবেই আলো রুখবে কোন বাতাস।"
আবৃত্তি ঝংকৃত হতে যাচ্ছে .............-এর কণ্ঠেঃ
{{ প্রথম কষ্ফটি লাইন-
"বিশ্বাস আর আশা যার নাই
যেও না তাহার কাছে,
নড়াচড়া করে, তবুও সে মরা
জ্যান্ত সে মরিয়াছে।" }}
{{ কবিতাঃ "অবিশ্বাস ও আশা", কবিঃ কাজী নজরুল ইসলাম। }}

@= শিক্ষণীয় কৌতুকঃ
"মউস্সা হকার (মানে মহসিন হকার) গৃহকর্তার কাছে এসে বলেঃ ছার,
আন্নে আইজকাইল আঁত্তুন হত্রিকা কিনেননা কিল্লাই?
গৃহকর্তা জবাবে বলেনঃ আমি তো এখন ওয়েবসাইট থেকে পড়ি, তাই।
মউস্সা বলেঃ আঁই আগেই জাইনতাম যে, ওয়াইবগা (মানে ওহাব) আঁর হেড লাত্তি মাইরবো। কিন্তু সাইটগারে তো চিনতাম হারি ন। টোগাই বাইর করণ লাগবো; নইলে হেড হাত্তর, নইলে হেড হাত্তর। (বলতে বলতে চলে গেল)।"
-বুঝতেই পারছেন, যে যা বুঝে না তার কাছে তা হয়ে পড়ে কখনো মূল্যহীন আবার কখনো ভিন্ন অর্থ। তবে এতে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যে, আঞ্চলিকতায় হলেও কারোই নামকে বিকৃত করে ডাকা কখনোই ঠিক নয়।
প্রযুক্তি বিষয়ক কৌতুক নিয়ে আসছেন ........ থেকে আগত আমাদের মেহমান শিল্পিবৃন্দ।

@= ইসলামী সংগীতঃ
"আমি তো জানিনি আমায় সৃজিবে তুমি
কত ভালবাসা দিয়ে আমারি জন্যে সাজাবে এ বেলাভূমি,
স্নেহ-মায়াময় আল্লাকে যদি বাসতে পারি গো ভালো
যা কিছু জীবনে নিঃসীম আঁধার; হয়ে যাবে সব আলো।"
........ শিল্পী গোষ্ঠী পরিবেশন করছে সংগীত-
{{ কথাঃ 'আল্লাহকে যারা বেসেছে ভাল// দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে...?' (ক্যাসেট থেকে সংগৃহীত) }}

@ = নাটকঃ
"কি আছে জীবনে আমার এমন যে
পারবো না দিতে তোমাকে;
পরম দাতা ও দয়ালু হে রহমান
এত অগণন সম্পদরাজি তুমি দিয়েছ যে আমাকে।"
-আমাদের সবকিছুরই প্রকৃত মালিক আল্লাহ্; সুতরাং তাঁর পথে সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়াতেই তো রয়েছে মর্যাদার সর্বোচ্চতা। এখন আসছে আজকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যায়- নাট্যতিথি।
প্রিয় সুধী, পরিবেশিত হচ্ছে নাটকঃ "শেষ সম্বল"। (যৌথ রচনা)

@= সমাপনঃ
"সন্ধ্যা নামছে ধীরে ধীরে ঐ পশ্চিম গগণে
দিবসের প্রহরগুলো শেষে তো সে নামবেই
জীবন-সন্ধ্যা সে তো একদিন আসবেই
হায়! পারতাম যদি সদা সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে মননে।"
-আমাদের প্রিয় স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান রাখবো এবং জীবনের সকল কাজে ইসলামী সংস্কৃতির সফল অনুসারী হবো আর সদা সর্বদা অন্তর মাঝে জ্বালিয়ে রাখবো ওপারের অনন্ত জীবনের জন্য প্রস্তুতি-প্রদীপ; প্রিয় সুধী, এ প্রত্যাশ্যা নিয়েই সমাপন টানছি আজকের এ বাৎসরিক আয়োজনের।
((সমাপ্ত))

(বাৎসরিক "পিকনিক" -২০০৭, সাংস্কৃতিক বিভাগের জন্য প্রস্তুতকৃত উপস্থাপনাটি এখানে জমা রাখলাম। অবশ্য বিগত 'বিন্দুতে সিন্ধু' পোষ্টটিও এখানে সংযুক্ত।)

ছবিটি অবশ্য বিগত দিনের, কারণ বর্তমান এখনো ভবিষ্যত-দরজার ওপাশেই রয়েছে। :)

 
  Today, there have been 1 visitors (1 hits) on this page!  
 
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free