Try to Live till Live the World
  মরু সফর
 

মরু সফর-১

-ফজলে এলাহি মুজাহিদ

অনেকগুলো দিনই তো চলে গেল রিয়াদ থেকে ফিরলাম, একটি মাস অদ্ভুত এক ভাবাচ্ছন্নতায় কাটিয়ে দিলাম; ভাবের অনুভব আর অনুভূতি গুলোকে লিখে রাখবো রাখবো করেও কতদিন হয় গেল। রাত্রিকে এত কাছে থেকে হয়তো দেখেছিলাম অনেক কিন্তু এতটা ভাবনায় দেখিনি আগে কখনো; বিশেষভাবে নীল-আঁধারের কোমল মোহন রূপ। নিঃসীম আকাশে আকাশে তারকাদের মিতালী আর চাঁদের পক্ষ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রূপালী জোৎস্নার দৈনিক শাড়ী পরিবর্তনের সৌন্দর্য্য সত্যিই অতি সাধারণকেও কবি বানিয়ে দেয়।

গিয়ে তো ছিলাম একান্ত প্রয়োজনে, থাকতে হবে বেশ কিছুদিন জানতাম, ভেবেছিলাম কোথাও ভাড়া নেব ঘর, স্কুল দিনের বন্ধুরা দেখালো লাঠির ভয়, অবশেষে তাদেরই আয়োজনে নিয়োজিত করে দিলাম আপনার কর্মকারণে বিশ্রামিত দিনরাত। দিলে কি হবে, কত বছরের রাত জাগা, বন্ধুদের ডাকা নিশাচর পাখি আমি, অথচ ওরা সকলেই কর্মমুখর জীবনোপলদ্ধিতে উদ্দীপ্ত প্রতিদিন; কি করে মেলাবো? রাতের খাওয়া যখন শেষ হয়, তখন গভীরতায় তাকালে দেখা যায় এক, দেড় কিংবা দু'টো; ঘুমপরী কি কখনো এই মধ্য রাতে এসেছিল আমার অভিসারে? নোকিয়া-১১০০ মোবাইলের স্বল্প অথচ দেখার মত যথেষ্ট আলোতে দেখে নেই 'মুসলিম মনীষা', হুমায়নের 'হেঁয়ালী' অথবা রবি বাবুর '', দু'খানা মোসাল্লা (যদিও শুধু বসার সুবিধার্থে) পকেটের কলম আর বন্ধুর হিসাবের খাতা, কখনো 'হাশর' গ্রামের 'বড় বাড়ী' মিযী বাড়ী'তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষিত লেটারপ্যাড ছেঁড়া, কখনো লিফলেটের উল্টো পিঠের সাদা ধবধবে কবিতার পট। তারপর কবিতার সেই 'ছিটকিনীটা আস্তে খুলে পেরিয়ে যেতাম ঘর'-এর মতই মধ্যোপারের নিঝুম রাত্রির দুয়ার খুলেই যেন বেরিয়ে পড়তাম আকাশ আর প্রকৃতির অসীম প্রান্তরে।

দিনের ক্লান্তি মুছে মনকে কিছু অতীত স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই হয়তো ওদের কেউ কেউ বসতো এসে খোলা আকাশের নীচের সেখানটায়। আমাকে পর পর কয়েক রাত দেখার পর এবং দু'এক কথা বলার পর অপরিচিতদেরই কয়েকজন চারখানা আরবী ইট আর এক খণ্ড তক্তা বিছিয়ে বানিয়ে দিল মঞ্চ, যেখানে ওদের আলাপচারিতা চলতো আমি আসার আগ পর্যন্ত। এসে পড়লেই জানা-অজানাকে ধারণ করে অন্যরা চলে যেত নিদ্রারূপ বিশ্রামে আর আমি ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকতাম আমার একান্ত সাম্রাজ্যে; যেখানে বিচরণে আমার কোন ভয়-দ্বিধা-সংকোচ নেই। যেখানে আকাশ থাকতো নুয়ে, যেমন কবিতার ছন্দ আমায় ঘিরে, চাঁদ-তারারা কত কথাই না শোনাত অন্তরে বাহিরে, আর থাকতো শাহানার প্রিয় বিড়ালগুলোর মত ওরাও ক'জন; আমি ক্রমেই ভুলতে শুরু করতাম আধুনিক সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের হাইওয়ের ল্যাম্পপোষ্ট, নিয়ন বাতি আর গতিবান ইঞ্জিনের শব্দ-ছন্দ পতনকে। কি জানি হয়তো নিজেকেও...।

১৬.০১.২০০৭, মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।

ছবিঃ ফ্লিকর: দৃষ্টির ছায়া
((ছবিটা লিংকে এখনো আপলোড করতে পারিনি বলে দুঃখিত, শীঘ্রই হবে।))


মরু সফর-২

নিমগ্নিত অন্ধকারের তেপান্তর পেরিয়েই এক সময় পৌঁছে যেতাম আলোর জগতে, যখন আন্তরিকতায় আমি নিতান্তই এক মহাজাগতিক পাখি; যার উড়ে বেড়ানোতে নেই কোন বাধা, নেই বিপত্তি আকাশ থেকে আকাশে, পাতাল থেকে অতলে, সর্বত্র। আল্লাহ্ আমাদের অন্তরসমূহকে এমনভাবে সৃজন করেছেন যে, শুধুমাত্র কল্পনাতেই সম্ভব করে ফেলতে পারি- যে কোন ভুবন, সৃজন, আকাশ-পৃথিবী, অবয়ব, আর যদি অন্তরের ধারক দেহের মস্তিষ্ক হয় জ্ঞানের আলোকে আলোকময়, তবে তো নিশ্চিন্ত বিচরণও হতে পারে গ্রহ হতে গ্রহানুপুঞ্জ পেরিয়ে আকাশের ঐ স্তরে যেখানে পিতঃ ইব্রাহীম 'আলাইহিস্ সালাম গাছের ছায়ায় কাল কাটাচ্ছেন খেলায়রত আনন্দিত শিশুদের সাথে। যাওয়া যায় অনায়াসেই পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে, ছোঁয়াও যায় সেই মহা রহস্যময় মাধ্যাকর্ষণের মধ্যমণিকে; যার মাধ্যমে বিশ্বভূবনের গ্রহ নক্ষত্র ধাবমান হয়েও মিলেমিশে বসবাস করে যাচ্ছে অনাগত কাল থেকে অথচ নেই কোন বিবাদ-বিসম্বাদ। অতি নগণ্য আমি, আমার ভাবনারা, আমার প্রকাশ পন্থা; তাই তো অজস্র অসীম ভাবনাকে কখনোই পারিনা গ্রন্থিত করে তুলতে, পারি না সাজাতে, সাজিয়ে তুলে দিতে তোমাদের হাতে।

ভাবনারা হেঁটেছিল সে-ই গতিময় বাসেই, যেখান থেকে যাত্রীরা আন্তরিক অপেক্ষায় ছিলাম সম্মুখেই আল-কাছীম শহর আসবে বলে। ভাবনারা সদর্পে বলেছিল- "গতিতে বদলায় জীবন", "বিভ্রান্ত বিবেকের অতৃপ্ত বাসনা", "সহযাত্রী", "আত্মার তিয়াস", "সামাজিক দুর্গ", "সিংহ পথের পিষ্ঠ পথিক", "অসমাপ্ত অভিধান", "সংগীত: ইসলাম আমাদের আলো", "পথ সন্ধানে জীবন-ছন্দ", "নতুন দিনের চাষবাস", "বিশ্লেষিত সায়াহ্ন", "আমার গাঁয়ের শ্যামল তরুর ছায়ায়", "ঔদাসিন্যের দিনপঞ্জিকা", "লাল গালিচা", "মহাজাগতিক মুসাফির", "বিধ্বংসী কারণিক", "নশ্বরে অবিনশ্বর হাসেন", "বিধেয় প্রতিদান", "ভাবুকে", "জল ভাঙ্গা দিন", "সংকল্প এখন", "রুবাইয়্যাত", "সংগীত: এক আকাশের স্বপ্ন", "পাংক্তেয় বিচ্ছিন্নতা", "আচ্ছাদিত বুকের প্রিয় পংক্তিমালা", "সুশান্ত আত্মা-ভূমের বিরহ" এবং বর্তমানের "মরু সফর-১" -এর ন্যায় এক আকাশ সঞ্চয়ের কথা। ২৮ দিনের অপূর্ণ মাসের ২৬ কবিতা আমার নিরন্তর ভাবনার মৌসুমী ফসল; হয়ত জীবনে আর এ মৌসুম ফিরবে না, হয়ত ফিরবেও। ছিল না যে গদ্যেরা, তা বলবো না; সমসাময়িক ব্লগীয় প্রসঙ্গক্রমে কিছু অধ্যয়নের ফসলও তুলে রাখলাম সযতনে "@ কাদিয়ানী: সত্য নবীর ধারাবাহিকতা সমাপ্ত এবং মিথ্যাবাদী গোলামের স্বরূপাংশ", "
@ কাদিয়ানীরা সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরী সাম্রাজ্য রক্ষার হাতিয়ার""কাদিয়ানীরা সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরী সাম্রাজ্য রক্ষার হাতিয়ার (শেষাংশ)" -এতদ শিরোনামের আড়ালে। এই তো, এভাবেই অবসরের নতুন সময়ে জোড়াতালি দেয়া অন্তর-নির্যাসগুলোকে জমিয়ে রেখেছিলাম অনাগত কালের অর্জনে আর উষ্ণ অনুভবে।

যখন আল-রাজ্হীর মসজিদে তাহাজ্জুদের আযান হয়, তখন ভূবনচারী অন্তর আমার নেমে আসতো মর্তের কাষ্ঠাসনে। তারপর আধো আধো হারানো এবং ফিরে পাওয়া নিয়ে গুটিয়ে নেই আমার ছন্দহীন জীবনের কবিতার খাতা। কিছু পড়াশোনা, কিছু রাতজেগে সালাত আদায়কারীদের প্রার্থনা, কিছু প্রকৃতির ছোঁয়া আর তার সাথে বিড়ালদের নিজস্বভাষার বলাবলি, ছুটোছুটি, দুষ্টোমী দেখা নিয়েই আহ্বান শুনি প্রভাতী সিজ্দার। নেমে পড়ি কাব্যাসনে পাড়ি জমানো কাব্যলোক হতে আর জাগিয়ে দেই নিদ্রাক্লান্ত সাথীদের, ওরা অপূর্ণতাকে পূর্ণ করতে বাড়ীর কৃত্রিম আঙিনাতেই সেরে নেয় ফজরের সালাত আর আমি ছুটতে থাকি আল-রাজ্হীর পুরোনো মসজিদের পানে। কখনো বুক পকেটে যত্নে রাখি গতরাতের পাণ্ডুলিপির আলগা করা পৃষ্ঠাগুলো, যেখানে সদ্যশিশুর মত হাতপা ছুঁড়ে কাঁদছে যেন ব্লগপাতার দোলনায় ঘুমোবে বলে; আমার কবিতারা। তাদেরে নিয়ে দীর্ঘ পথের ওপারের মসজিদে ছুটি যেন সালাতান্তেই ছুঁতে পারি ক্যাফের কীবোর্ড আর পরিপূর্ণ দৃষ্টি মেলে দেখতে যেন পারি বিগত রাতের অন্তরুত্থিত ভাবনার সিন্ধু জয়ের সতেজ সঞ্চয়ণ।

১৭.০১.২০০৭, মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।
ছবিঃ আপন দৃষ্টিতে সে কাব্যাসন।


মরু সফর-৩

কতক অসাধু এবং দুর্নীতিবাজ পৃথিবীর সকল জনপদেই বিদ্যমান থাকে, তেমনি এক অসাধুতার শিকার হয়েই পাড়ি জমাতে হয়েছিল দীর্ঘ হাজার কিলোমিটারের দূরত্বোপারের রিয়াদ শহরে। অনেকদিন পর দীর্ঘপথ ভ্রমণে বের হলাম, সকাল দশটা নাগাদ চলতে শুরু করেছিল স্থানীয় সেপ্টকোঃ বাসটি। ভ্রমণ পথে নিতান্ত দুর্বল না হয়ে পড়লে কখনোই আমি ঘুমোই না; ধাবমান প্রকৃতিকে দেখার মত আনন্দ কি সত্যিই ঘুমের মাঝে থাকে? তাই বরাবরই সীট পছন্দ করে থাকি জানালার পাশে, ঊষর মরু প্রান্তরের এখানে ওখানে হিজল বা এ জাতীয় বিক্ষিপ্ত গাছালীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে, কোথাও জনপদ ঘেঁষা খোরমা খেজুর বাগান, কিন্তু বালিয়াড়ি পেরিয়ে ছোট ছোট টিলাগুলো অথবা মাঝারী মাপের পাহাড় কিংবা সুউচ্চ পর্বত মালা দেখতে দেখতে কেবলি মনে পড়ে যায় পরম প্রিয় প্রভুর সে বাণী- ((পাহাড়গুলোকে করেছি পেরেকের মত)) [সূরা আন্-নাবাঃ ৭]; যাতে নিরন্তর গতিবান পৃথিবী তোমাদের নিয়ে দুলে না উঠে, যাতে তোমাদের আবাসস্থল ভাঙ্গনের কবল থেকে নিরাপদ থাকে। সেদিনের মদীনা নিকটবর্তী প্রকৃতি-বায়ু ছিল আকাশময় মরু ঝড়ে ঘোলাটে, তবে আল-কাছীমের নিকটবর্তী হতেই প্রকৃতি পটে পরিচ্ছন্ন ভাবটা আসতে শুরু করলো।

বাসের জানালার কাঁচগলে দেখা আকাশটাকে তখন অনেক মায়াময় লাগছিল, পকেটের 'Canon''টাকে বার বারই খুলে খুলে ছবি নিচ্ছিলাম গতিতে থেকেই; যেন পাল্লা দিয়ে। বিধিবাম হলো যেই না পৌঁছুলাম আল-কাছীম শহরে, সিগনালে বাস ড্রাইভার লাগিয়ে দিল আরেকটি প্রাইভেটের সাথে, তারপর কি আর অপেক্ষার শেষ আছে? প্রথমে সিগনালে, তারপর স্থানীয় ট্রাফিক অফিসের অবস্থানে, তারপর বাস কোম্পানীর ওয়ার্কশপে, তারপর স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে অবশেষে বাস এবং ড্রাইভার পরিবর্তন করে সে-ই আসরের ঘন্টাপূর্ব থেকে অপেক্ষমান যাত্রীরা যখন পুনরায় যাত্রা করলাম রিয়াদের পথে, তখন মসজিদে মসজিদে উচ্চকিত ধ্বনি তুলছিল মাগরিবের সুমধুর আযান। রিয়াদের প্রায় তিন কি সাড়ে তিনশ' কিলোমিটার বাকী পথে পড়ে একটি অনেক উঁচু চড়াই, চারপাশ দেখতে তখন অনিন্দ সুন্দর, প্রায় পর্বত পাড়ী দিয়ে তৈরী করা হয়েছে এ পথ যা হাজার কিলোমিটারের আর কোথাও দেখা যায় না। অন্ধকারে শুধু আলোর খেলাই দেখতে পেলাম যাবার বেলা। অবশেষে পৌঁছুলাম যখন, তখন রাত প্রায় এক টা; অপেক্ষিত বন্ধুদের সাথে বুক মিলিয়ে দীর্ঘ পনর ঘন্টার সফরের ক্লান্তি মুছতে লুকিয়ে গেলাম দ্রুতই চাদরের আড়ালে।

নিজের লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি আরো কয়েকটি দ্বীন সংশ্লিষ্ট ইচ্ছেকে লালন করেছিলাম মনের কোণে; রিয়াদে অবস্থানরত বাংলাদেশী বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্বদের কয়েকজনের সাথে সাক্ষাত, বিভিন্ন দাওয়াত ও প্রচার সংস্থাগুলোর অফিসে অফিসে ছুটোছুটি এবং বিশেষ করে ইসলাম হাউজ -এর ওয়েবসাইটে কিছুটা সময় দিয়েছি যাতে স্বদেশী-স্বভাষীরা দ্বীনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। ওদের সাথেও হলো একটা দারুন আন্তরিক হৃদ্যতা। তবে মোটের উপর ইসলামের জন্য যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই দেখেছি শুধুই একটা চাকুরী করছেন তারা; দ্বীনের দা'য়ীর অনুভূতির ততটা প্রতিফলন দেখতে পাইনি যতটা বাইরে থেকে আমরা অনুভব করি কিংবা একই সাথে জীবিকা এবং আল্লাহ্র দ্বীনের খেদমতের মত অসামান্য পাওয়ার নিরন্তর আকাংখা পোষণ করে থাকি। তবে মুহসিনীনদের (দাতা) সুবিশাল প্রজেক্ট এবং সেসবে ব্যয়ের অংক দেখে হৃদয়টা যেন হিমালয়ের মত সুবিশাল হয়ে উঠেছিল। আমি সর্বদাই প্রার্থনা করি, যেন তাদের এ দান আল্লাহ্ কবূল করেন, তাতে বরকত দেন এবং এসব প্রজেক্টে কর্মরতদেরকে দ্বীনের খেদমতের অনুভূতি অর্জনের তৌফিক দান করেন।

পনর দিনে গড়ে উঠা এক বন্ধুকেও এর মাঝে বিদায় জানালাম স্বদেশের পথে; এছাড়া স্কুল দিনের বন্ধুদের সাথে প্রায়ই চলতো নৈশঃভোজের আয়োজন আর আড্ডা। আমার অবস্থানের প্রেক্ষিতে ওরা যা কিছু কষ্ট সব হাসিমুখে অতি আন্তরিকতায় গ্রহণ করে নিয়েছে এবং তাদের ভালবাসা প্রদর্শন করেছে আমার প্রতি; তাদের জন্য অনেক দো'আ। বিগত অবসরকে কি আর লেখনীর আঁচড়ে ব্যস্ত করে তুলতে পারবো? কিইবা প্রয়োজন আছে তার, প্রতিপালকের সমীপে এ কৃতজ্ঞতাই তো যথেষ্ট যে, তিনি যা দিয়েছেন লক্ষ্যে, ভাবনায়, অর্জনে, খেদমতে আর আন্তরিক প্রশান্তি ও শারিরিক সুস্থতায়; তার জন্য অগণন প্রশংসা শুধুমাত্র তাঁর।

১৮.০১.২০০৭, মদীনা মুনওয়ারা, সৌদি আরব।
(((সমাপ্ত)))

ছবিঃ অদক্ষতায় গতির ভেতর তোলা একান্ত আপনার।

 
  Today, there have been 3 visitors (25 hits) on this page!  
 
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free